Skip to main content

ভালো থেকো, ভালবাসা

 💝💝💝💝ভালো থেকো, ভালবাসা💝💝💝.....


         👉👉👉👉👉👉👉👉পর্ব ১👈👈👈👈👈👈👈



অনেক সেজেগুজে বাসর ঘরে বসে আছি, কিন্তু আমার বরের কোনো খবর নাই। এ ছেলে নির্ঘাত আনরোমান্টিক হবে।

............

যাহোক উনি অবশেষে আসলেন।


এসে ঘরে ঢুকেই বলল -


"আমি কারো সাথে বিছানা ভাগ করে ঘুমাতে পারব না।"


আমি তো আর অবুঝ নই ; না বলা কথাটুকু ঠিকই বুঝে গিয়েছি। বিছানা থেকে নেমে সালাম করে আবারও সেই বিছানাতেই বসেছি।


উনি মনে হয় এরকমটা আশা করেন নি। এজন্যই হয়তো ভুরু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন "কথা কানে যায় নি??"


আমি হাই তুলতে তুলতে বললাম,


-"কানে গিয়েছে তো, আপনি এক কাজ করুন.. নিচে শুয়ে ঘুমিয়ে পরুন। আমি বিছানা পেতে দিচ্ছি।"


উনি আমার আস্পর্ধা দেখে বিরবির করে কি যেন বললেন, স্পষ্ট শুনতে পাই নি।


উনি মনে হয় রেগে আছে খুব।


রেগে থাকারই তো কথা। উনার জায়গায় আমি হলে হয়তো বিয়েটাই ভেঙে দিতাম।


বিয়ের আগে যদি কোনো মেয়ে তার হবু বরকে বলে যে, "আপনি কি জন্ম থেকেই হাফ কানা?" তাহলে তো রাগ হবেই।


ব্যাপারটা খুলেই বলি....


উনি, উনার বাবা, মা ভাই আর বোন গিয়েছিল আমাকে দেখতে।


দেখাদেখির এক পর্যায়ে আমাকে আর উনাকে পাঠানো হল আলাদা করে কথা বলতে।


উফ্! কতক্ষন আর উনি উনি করব.. তারথেকে নামটা বলেই দেই।


ওর নাম শুভ্র।


যাহোক আলাদা করে কথা বলার সময়ই আমি উনাকে বলেছিলাম, "আপনি কি জন্ম থেকেই হাফ কানা? "


আমার এরকম অদ্ভূত প্রশ্ন করার কিন্তু কারন আছে। মেয়ে দেখতে এসেছে তাও চোখে চশমা পরে! চশমা চোখে না দিলে কি আমাকে দেখা যাবে না নাকি। এজন্যই তো হাফ কানা বললাম।


ও আমার প্রশ্ন শুনে গোমরা মুখে বলেছিল, "হুম"।


আমি তখনই বুঝেছিলাম এ ছেলে হাফ কানা তো বটেই, সাথে কিছুটা বলদ কিছিমেরও।


আমার কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা কিছুটা অদ্ভূত। এজন্য বিয়ের আগে আম্মু বকত আর বলতো, "তোকে বিয়ে দিলে তো বিয়ের পরের দিনই পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দিবে শশুরবাড়ির লোকেরা।"


আম্মুর এ কথায় আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে বলতাম, "তাহলে যে বাসায় পিছনের দরজা নেই, ওরকম বাসায় আমাকে বিয়ে দিয়েন, হিহিহি।"


আম্মু তখন রেগে গিয়ে বলত, "তুই আর আমাকে মা বলবি না"।


আমি এ কথায় হিহিহি করে হেসে বলতাম, "ওকে আন্টি"।


বিছানায় শুয়ে শুয়ে এসবই ভাবছিলাম..


হঠাৎ-ই রুমের লাইট অফ হয়ে গেল। না, নিজে নিজে হয় নি ;শুভ্রই করেছে। আমি মুচকি হেসে ভাবছি


- "এখন তো আমার পাশেই শুয়ে ঘুমাতে হবে। কতক্ষন আর দাড়িয়ে থাকবে হুহ"।


বেশ খানিকটা সময় কেটে গেছে। কিন্তু শুভ্রর কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না! ব্যাপারটা কি..


অন্ধকারের মধ্যই বিছানা হাতরে ওকে খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছি না তো! আমার বর গেলো কই!


এখনো কি বিছানার পাশে দাড়িয়ে আছে নাকি?!


বালিশের নিচ থেকে আমার মোবাইলটা বের করে ফ্ল্যাশলাইট অন করলাম।


এমা!! এ ছেলে তো সত্যিই বলদ টাইপ। ফ্লোরেই শুয়ে পরেছে, তাও কিছু না পেতেই।


--এই যে, উঠুন (আমি)


:--.. (কোনো সাড়াশব্দ নেই)


--উঠতে বলেছি তো..


এবার উনি উঠলেন। পাশে খুলে রাখা চশমাটা হাতে নিয়ে চোখে পরলেন। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,


-- তুমি হয়তো ভাবছো আমি কেন নিচে শুয়ে পরলাম কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই। আমি মনে করি তুমি এ বাড়িতে ক্ষণিকের অতিথি মাত্র...


এটুকু শুনেই আচমকা এক ভয়ের স্রোত খেলে গেল আমার শরীরে। একটা শিরশিরে অনুভূতি হলো নিজের ভিতর..


উনি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বলতে লাগলেন,


-- আমি জানি তুমি এ বিয়েতে খুশি নও। এজন্যই বিয়ে ভাঙতে ওরকম উদ্ভট প্রশ্ন করেছিলে, তাই না??


আমি উনার কথায় সম্ভিত হারিয়ে ফেললাম। স্বাভাবিক চিন্তাগুলোও এলোমেলো লাগছে। প্রচন্ড অভিমানে নিজের কান্নাটাকেও জোর করে দমিয়ে রাখলাম।


কিন্তু উনি এসব কিছুই বুঝলেন না। মৌণতাকে সম্মতির লক্ষণ ভেবে নিলেন।


সেদিন আমরা পাশাপাশি শুয়ে রাত কাটালেও মাঝখানে ছিলো বাহ্যিকভাবে একহাত দূরত্ব আর মনের দিক থেকে কতটা দূরত্ব ছিলো সেটা না হয় নাই বা বললাম....


বিশেষ দ্রষ্টব্য : কিছু ভুল থাকলে মাপ করবেন।

 Next part  খুব শীঘ্রই আসবে ইনশাল্লাহ।


কমেন্ট এবং শেয়ার  আশা করি 😊😊

Copy from #Priyo

Comments

Popular posts from this blog

জুনিয়ারের প্রেম | সিনিয়র সাথে জুনিয়ারের প্রেম 2020

জুনিয়ারের প্রেম        মো : মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার    তুমি তো অনেক বড়                   মস্ত বড় একজন।     আমি তো ছোট                   অতি নগণ্য একজন।    তবুও তোমায় লাগে ভাল                   বুঝি না কোন সে কারণ।    অবুঝ মন আমার                   বোঝতে চাই না ।   কোন ছোট বড়।                   তা ই তো হারিয়ে যায়    কোন সিনিয়রের জন্য,                  ব্যাকুল হয়ে উঠে পাবার জন্য।    তুমি তো মস্ত বড় শিক্ষক                  আমি তো অতি নগণ্য লেখক।    তুমি তো মাস্টার্স কম্পিলিট স্টুডেন্ট                   আমি ...

ফুল তুলিতে আসো - এসএম. মুক্তার সরকার

বালিকা তুমি ফুল তুলিতে আসো, নাকি ফুল তোলার ছলনায় আমায় দেখতে আসো।  জানি তোমার চালাকি, ফুল তুলিতে বাঁকা চোখে  আরে আরে আমার পানে চেয়ে থাক তুমি।  ফুল ফোটে গাছেতে মুখ তোমার ফোটে না। 

আখি ভরা নয়ন - মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার সরকার

  আঁখি ভরা নয়নে দেখি না আর তোমাকে  গিয়াছো তুমি ভুলিয়া আমাকে, মনে তো রাখনি মোরে।