Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2022

আটখুরে কৃষক - মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার

  আটখুরে কৃষক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার  এক গ্রামে এক গরীব কৃষক বাস করতো। কৃষিকাজ করে কোন মতে সে জীবিকা নির্বাহ করতো আর তাতেই প্রায় তার জীবন বেশ চলেছিলো। কৃষক আর তার স্ত্রী দুজনেই খুব সুখী জীবনযাপন করতো। সংসার জীবনে তাদের কোন অভাব ছিল না কিন্তু তাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো তাদের ঘরে কোনো সন্তান নেই। এদিক থেকে তারা অসুখী। দুজনে মনে মনে ভাবে আল্লাহ আমরা তোমার দরবারে বেশি কিছু চাইনা শুধু আমাদের একটা সন্তান দান করো। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। আমরা যে সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। সমাজের মানুষ আমাদের দেখলে নাক সিটকায়, বলে আমরা নাকি আটখুরে। আমাদের মুখ দেখলে নাকি তাদের কোনো কাজের সাত হয়না। তাদের নাকি মঙ্গল হয়না, অমঙ্গল হয়! আল্লাহ তুমি সব পারো মাবুদ । তুমি না এই পৃথিবীর অধিপতি! তোমার তো অনেক ক্ষমতা; আল্লাহ আমরা জানি, বান্দা যদি কোন কিছু তোমার কাছে চাই তুমি তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দাও না মাবুদ। আল্লাহ তোমার দরবারে একটা সন্তান ভিক্ষা চাই। আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দাও না । এভাবে কৃষক আর তার স্ত্রী মিলে প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের নামাজের পর আল্লাহর দরবারে কান্না শুরু করে, চোখের পানি ফেলে। তাদের দোয়া আল্লাহ

কবরের আযাব লেখক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার

কবরের আযাব  লেখক মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার  সময় 8:48 রাত  28.03.2022 আমাদের বাসা থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটা পার্ক ছিল। পার্কের সাথেই ছিল একটা সুন্দর খেলার মাঠ। আমি ও আমার বন্ধুরা সবাই মিলে বিকাল বেলা খেলা করতাম, সেখানে বসে অনেক আড্ডা দিতাম গল্প করতাম। এভাবেই সময় পার করতাম। পার্কের সাইডে একটা বাড়ি ছিল। বাড়িটা ছিল বেশ ঝকঝকে ইট পাটকেলের তৈরি। বাড়িতে কোন ছেলে মানুষ ছিল না । মা ও মেয়ে বাস করতো। মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর তাদেরকে দেখাশুনা করার মতো আর কেউ নেই।  মাও প্রায় অসুস্থ, বয়স হয়েছে তো তাই। মেয়েটা অনেক সুন্দরী, দেখতে ধপধপে সাদা বকের মতো। অনেকেই তাকে পুতুল মনে করে, পুতুল নামে ডাকতো। সে তার বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান ছিল। আর কোন সন্তান ছিল না বলে যা ইচ্ছে তাই করতো কিন্তু খুব বেশি কিছু করতে পারতো না পারিবারিক নিয়মের জন্য । সে তার বাবার মৃত্যুর পর যেন স্বাধীন হয়ে যায়। মনে করে এখন বাধা দেওয়ার মতো আর কেউ নেই, এখন সে মুক্ত। সে যেন খাঁচায় বন্দী থাকা পাখির মতো ছিল, খাঁচার বন্দী পাখি যেমন মুক্ত হবার পর আকাশ পানে উড়িয়ে চলে যতদূর তার মন চায়। ঠিক তেমনই মেয়েটি যখন যেখানে খুশি তখন সেখানে যায়

এসে গেল বৈশাখ - মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার

এসে গেল বৈশাখ  মুক্তারুল ইসলাম মুক্তার  আনন্দে মেতে উঠেছে মন।  বৈশাখের শাড়ি পইরা  হাতে কাচের চুড়ি দিয়ে  সাজিব যে বৈশাখী সাজ।  উলু করে খোপা বেঁধে  গুঁজে দিব তাহাতে কাঠমালতী ফুল।  মেলায় গিয়া চরবো নাগরদোলা, দেখব কত রকমের খেলা।    বাঙালির ঘরে ঘরে  উঠেছে মেতে বৈশাখী উৎসব।  পাট শাক আর ইলিশ মাছে  পান্তা খাওয়ার যে, বাঙালির প্রাচীন অভ্যাস।